মানিকচকের লালবাথানি গ্রামের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, তবুও প্রশাসনের হুঁশ নেই। Manikchak News
রাস্তা অচল, প্রশাসন চুপ
মানিকচকের লালবাথানি গ্রামে চায়ের মোড়ে রাস্তা ঠিকঠাক থাকলেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বড়োভাবানী পুর, মাকরাইন এবং রাধানগর গ্রামের বাসিন্দাদের। বর্ষাকাল শুরু হতেই রাস্তা অচল হওয়ার ফলে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষেরা। লালবাথানির কিশোর সংঘ রুরাল লাইব্রেরি থেকে মাকরাইন যাওয়ার রাস্তা মোটেই সুবিধাজনক নই। চার চাকার গাড়ি তো দূর সাইকেল নিয়ে যাওয়াও কষ্টকর হয়।
রাস্তার এহেন পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লালবাথানি পার হয়ে তিন তিনটে গ্রাম রয়েছে। সেই গ্রামগুলোর রাস্তাও নাজেহাল হয়ে পড়েছে। তবে বেশির ভাগ মানুষই প্রতিদিনের বাজার করার জন্য লালবাথানিতে গিয়ে ভিড় করেন। কিন্তু দুর্গম রাস্তার জন্য প্রচুর কাদা অতিক্রমের পর তাদেরকে লালবাথানি যেতে হয়।
বড়ভবানীপুর, মাকরাইন এবং রাধানগর গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ। চাষবাস করেই অধিকাংশ মানুষ নিজেদের সাধারণ জীবনযাপন করে চলেছেন। কিন্তু যেসকল কৃষকেরা তাদের জমিতে শাকসবজি এবং অন্যান্য কৃষিদ্রব্য বাজারে বিক্রি করে নিজের সংসার চালান, রাস্তার বেহাল দশার জন্য খুব কষ্ট করে কৃষিদ্রব্য নিয়ে যান বিক্রি করতে। সাধারণভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেও যে কষ্ট এবং পরিশ্রম করতে হয় তা এদেরকে দেখেই বোঝা যায়।
Countdown Begin : ভারতে 73 দিনের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরী হতে চলেছে, টিকাকরণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
রাস্তার বেহাল দশার খবর প্রশাসনের কাছে থাকলেও রাস্তা মেরামতের সদিচ্ছার অভাবে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। বর্তমানে কোনো মানুষের যদি হঠাৎ শরীর অসুস্থ হয় তাহলে সেই মানুষটিকে প্রথমে কাঁধে করে লালবাথানি নিয়ে যেতে হবে, তারপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু কোনো মানুষের আচমকা হৃদ আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে কি করার থাকবে সাধারণ মানুষের। রাস্তা যদি অচল হয়ে পরে থাকে সেখানে গ্রামের মানুষের কাছে কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু রাস্তা যদি ঠিক থাকে তাহলে যেকোনো রুগিকেই সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।(A request to the higher authority).
Leave Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন