কন্যাশ্রী প্রকল্পে বড়োসড়ো দুর্নীতি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় | Manikchak News
রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্প অন্যতম। খুব অল্প সময়ে এই প্রকল্পটি সকলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু এ কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প (KANYASHREE PRAKALPA) নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে মালদা জেলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসায়।
অভিভাবকদের সহায়তায় কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস
আসলে বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সহযোগিতায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে। কন্যাশ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের বিরুদ্ধে। হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির দায় চাপিয়েছেন কেরানি এবং ওই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুলির বিরুদ্ধে।
আরোও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই প্রহ্লাদ মোদি কি কারনে ধর্নায় বসলেন জানুন বিস্তারিত
উক্ত হাই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মতে, মাদ্রাসায় নাপোড়া বাইরের মেয়েগুলো কেউ টাকার বিনিময়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অংশগ্রহণ করানো হচ্ছিল। বেআইনিভাবে বাইরের মেয়েকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা গ্রামের মানুষের কানাঘুষা চলছিল। কিন্তু ও অভিভাবকরা নিজেদের মেয়ের কাছে একই অভিযোগ শোনাতে গোটা চক্রান্ত বুঝতে পারেন।
স্থানীয় বি ডি ও পার্থ দাস বলেন, বেশ কয়েকজন অভিভাবক RTI এর নিকট হাই মাদ্রাসার কন্যাশ্রী প্রকল্প সংক্রান্ত নথি জানতে চেয়েছিলেন। আর সেখান থেকে বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হয়। হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কে ডাকা হলে তিনি 200 জন ভুয়ো ছাত্রীর কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভুয়ো ছাত্রী এর কথা জানতে পেরে তিনি তড়িঘড়ি সেগুলো কে বাদ দিয়ে দেন। তিনি আরো বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পে লোগ ইন এর আইডি এবং পাসওয়ার্ড কেরানির কাছে রয়েছে। সেই কেরানি এবং স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতা মিলে এগুলো দুর্নীতি করেছে। প্রধান শিক্ষক মোঃ খায়রুল আলমের বক্তব্য নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হলে আসল দোষী অবশ্যই ধরা পড়বে।
Leave Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন